Dhaka.
একজন উদ্যোক্তা যে ১৫ টি প্রচলিত ভুল করে থাকেন
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল, একটি দেশের উন্নয়নে ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। দেশে ইন্টারনেট এর ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন নতুন ব্যবসায়ও গড়ে উঠছে। ব্যবসায় গড়ে তোলা যতো কঠিন তার চাইতে আরো কয়েকগুন কঠিন হলো ব্যবসায় টিকিয়ে রেখে লক্ষে পৌঁছানো। একজন উপযুক্ত উদ্যোক্তাই পারেন এই কঠিন বিষয়কে একটু হলেও সহজ করতে। সাধারণত যিনি নিজের উদ্যোগে ব্যবসায় স্থাপন করে থাকেন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় কিন্তু অবশ্যই উপযুক্ত উদ্যোক্তা বলা হয় না। একজন উপযুক্ত উদ্যোক্তা উদ্যোগ নেয়ার সাথে সাথে তা সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন এর জন্য সঠিক পথ বেছে নিয়ে কাজ করতে থাকেন। আর একজন নাম মাত্র উদ্যোক্তা প্রত্যেকটি কাজে ভুল করতে থাকেন যা সহজে চোখে পরে না বা অনুধাবন করা যায় না কিন্তু লক্ষে পৌঁছতে বাঁধা হিসেবে কাজ করে বা লক্ষে সঠিক সময়ে পৌঁছানো সম্ভব হয় না বা আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
চলুন জেনে নেই, একজন উদ্যোক্তা ব্যবসায় পরিচালন এর ক্ষেত্রে কি ধরণের ভুল করে থাকেনঃ
০১। অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্য প্রত্যাশা করাঃ
যদি আপনি আপনার ব্যবসায় থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্য আশা করেন তাহলে আপনি নিজেকে হতাশ করার জন্য তৈরি করছেন। হ্যাঁ, আস্থা থাকা ভাল এবং দ্রুত সাফল্য পাবার ইচ্ছা থাকাটাও জরুরী কিন্তু খুব দ্রুত ফলাফল প্রত্যাশা করা উচিত নয়। ব্যবসায়ে সফলতা পাওয়াটা সময় সাপেক্ষ ব্যপার। একটি ব্যবসায় হতে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করতে হলে দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ করতে হয়। আপনাকে আপনার প্রত্যাশা সম্পর্কে বাস্তব সম্মত ও ধৈর্যশীল হতে হবে। ব্যবসায়ে ব্যর্থ হওয়ার অনেক গুলো কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে ,অনেক উদ্যোক্তা মনে করেন যে ব্যবসায় শুরু করার সাথে সাথে মুনাফা লাভের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন শুরু হয়ে যাবে। তাদের এই মানসিকতার জন্য দেখা যায় যে ব্যবসায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। ব্যবসায় এর প্রথম ১ বছর চলে যায়, ব্যবসায়কে সঠিক ভাবে পরিচালন করতে গিয়ে, এই ১ বছরে নিজের ভুল থেকেই অনেক কিছু নতুন ভাবে শেখা হয় এবং পরের ২ বছরের মধ্যে ব্রান্ড তৈরি করা হয়, এর মধ্যে যদি ভালো অর্থ হাতে চলে আসে তাহলে তা দিয়ে ব্যবসায় এর আরো উন্নয়নে ব্যবহার করা উচিত।
০২। আপনি যা নন তা হওয়ার চেষ্টা করাঃ
শুধুমাত্র মানুষকে খুশি করার জন্য অনেকেই নিজের ব্যক্তিত্বকে গোপন করে অন্য ব্যক্তিত্তের পরিচয় ধারণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কপটতা কেউই পছন্দ করে না আর এর পরিনতিও ভাল হয় না। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা এক মুহূর্তেই এই ধরনের মানুষদের কপটতা বুঝতে পারে। এবং তাদের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় না। অপরদিকে সৎ ব্যক্তিত্তের লোকদের উপর মানুষ আস্থা ও ভরসা পায়। তাদের সাথে খুব সহজেই মানুষ ব্যবসায়িক লেনদেন এ জরিত হয়।
০৩। সমস্ত কাজ নিজেই করার চেষ্টা করাঃ
সাধারনত একজন উদ্যোক্তা কাজের প্রতি আন্তরিক ও পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাই বলে কোম্পানির সব কাজ যদি তিনি একাই করতে চান তাহলে তার একার পক্ষে এত কাজ কুলিয়ে উঠা সম্ভব নয়। তাই একজন উদ্যোক্তাকে কাজ সঠিক ভাবে বণ্টন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। আর বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে কাজ আউটসোর্স করার সম্পর্কেও জানতে হয়। কাজ আউটসোর্স করার মাধ্যমে ব্যবসায় এর একটি ভালো পরিমাণ অর্থ বাঁচানো সম্ভব। যে সমস্ত কাজ আপনার একার পক্ষে পরিচালনা করা সম্ভব নয় সেই সব কাজের জন্য বাইরের থেকে যাচাই করে কর্মী নিয়োগ করে করা যেতে পারে। এতে করে আপনার সময় বেঁচে যাবে এবং আপনি আপনার কাজটিতে যথাযথ মনোনিবেশ করতে পারবেন।
০৪। আপনার পছন্দের কাজকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র টাকার পিছনে ছোঁটাঃ
আপনি যদি আপনার ব্যবসায়ের বিষয়ের প্রতি আগ্রহী না হন অথবা আপনি যে কাজের উপর ভিত্তি করে কোম্পানি খুলছেন তার প্রতি যদি আপনার মন থেকে ভালবাসা না থাকে তাহলে আপনি সফলতা হতে অনেক দূরে পিছিয়ে থাকবেন। অনেক উদ্যোক্তা একটি বিশাল ভুল করেন তা হচ্ছে, তারা যেই কাজটি ভালবাসেন সেটিকে পেশা হিশেবে নির্বাচন না করে শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের জন্য অন্য কাজের ভিত্তিতে ব্যবসায় শুরু করেন।
এতে করে দেখা যায় সফলতা ও টাকা কোনটিই তিনি লাভ করতে পারেন না। আপনি যেই কাজের প্রতি আগ্রহি টাকা উপার্জনের কথা না ভেবে যদি সেটিকে যথাযথভাবে করেন তাহলে সফলতা ও অর্থ দুটিই অর্জন করতে পারবেন।
০৫। সোশ্যাল মিডিয়াকে উপেক্ষা করাঃ
অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মনে করে যে তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ইন্টারনেট এর কোন প্রয়োজন নেই। কিন্ত বর্তমানে টেকনোলজি এর যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যতিত জনপ্রিয়তা লাভ করা প্রায় অসম্ভব। আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থান যেখানেই থাকুক না কেন ইন্টারনেট বিভিন্ন প্লাটফর্ম যেমন – ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম ইত্তাদির মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সার্ভিস দেশের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে দিতে পারবেন। ব্যবসায়ের প্রচার ও প্রসার এর ক্ষেত্রে ইন্টারনেট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
০৬। প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ ব্যয় না করা অথবা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করাঃ
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থ হাতিয়ার স্বরূপ। নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে দুই ধরনের মনোভাব দেখা যায় যেমন- ০১। টাকা উপার্জন করতে হলে টাকা অবশ্যই খরচ করতে হবে। ০২। যতক্ষন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমান নগদ টাকা উপারজন না হয় ততক্ষন পর্যন্ত নুন্নতম পরিমান ব্যয় করতে হবে।
এই মনোভাব যখন চরম পর্যায়ে অনুসরন করা হয় তখনি সেটা ব্যবসায়য় এর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। তাই আপনার প্রারম্ভিক নগদ অর্থ বুঝে শুনে বিনিয়োগ করুন। ভাল মানুষ এবং ভাল মানের পণ্যে বিনিয়োগ করতে ভয় পাবেন না।
০৭। আপনার কোন প্রতিযোগী নেই এইরকম ধারনা করাঃ
অনেক সময় নতুন পণ্যের প্রারম্ভিক জনপ্রিয়তা দেখে ব্যবসায়ি মনে করতে পারে যে তার কোন প্রতিযোগী নেই। কিন্তু বাস্তবে এটা অসম্ভব যদি না আপনি সম্পূর্ণ নতুন কোন পণ্য বাজারে নিয়ে আসেন। অন্যথায় আপনি যেই পণ্যেরই ব্যবসায় শুরু করেন না কেন বাজারে প্রতিযোগীর প্রভাব থাকবেই। তাই বাজারে সব ব্যবসায়িদের মধ্যে আপনার প্রকৃত প্রতিযোগীকে খুজে বের করে সেই অনুযাই সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবসায় পরিচালনা করতে হবে।
আবার অনেক ক্ষেত্রে আপনার সরাসরি প্রতিযোগী না থাকতেই পারে, সে সময় অনেকে ভেবে নেন যে প্রতিযোগীতা বলে কিছু নেই তার ব্যবসায় এ, কথাটি ভুল, সরাসরি প্রতিযোগী না থাকলেও কোনো না কোনো ভাবে প্রতিযোগী থাকতেই পারেন, হয়ত আপনার সার্ভিস বা পণ্য এর সাথে ১০০% প্রতিযোগীতা করছে না তবুও সে কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী।
০৮। প্রচার ও প্রসার কাজে গুরুত্ব না দেয়াঃ
কথায় আছে ‘প্রচারেই প্রসার’। কিন্ত অনেকে এই বিষয়টার প্রতি গুরুত্ব দেয় না। তারা ভাবেন, তাদের পণ্যের গুনগত মান এতোই ভালো যে শুধুমাত্র মুখের কথায় বা সাধারন জনসংযোগ পদ্ধতিতে বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে বা পাচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ এও পাবে। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট এর যুগে এইটুকু যথেষ্ট নয়। পণ্যের প্রচার করতে অনেক ধরণের পদক্ষেপ যেমন – ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ফলাফল খুবই লাভ জনক হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। নয়ত বাজার প্রতিযোগিতায় আপনার পণ্যটি পিছিয়ে যাবে বা নতুন ব্যবসায়ী আসলে আপনি পিছিয়ে পরবেন।
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://goo.gl/UG3F3h
০৯। ভোক্তাদের পছন্দের চেয়ে পণ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়াঃ
যখন কোন প্রোডাক্ট বিক্রয়ের উদ্দেশে বাজারে আনা হয় তখন ভোক্তাদের কথা সর্বপ্রথম মাথায় রাখতে হয়। কিন্ত অনেকেই শুধুমাত্র মুনাফা লাভের কথা চিন্তা করে এবং ভোক্তাদের রুচি, চাহিদা ও পছন্দের বিষয়ে ভাবে না। অনেকেরই এটা জানা নেই যে ভোক্তা সন্তুষ্টি ব্যতিত আপনি খুব বেশি দিন আপনার পণ্য নিয়ে বাজারে টিকে থাকতে পারবেন না। দীর্ঘ সময়ের জন্য ভোক্তা ধরে রাখতে হলে আপনার পণ্যটি ভোক্তার রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী হতে হবে। শুরুতেই মুনাফা লাভের কথা না ভেবে ‘কাস্টমার ফার্স্ট’ মনোভাব আনতে হবে।
১০। খুব বেশী পরামর্শ নেয়া অথবা কারো পরামর্শই না নেয়াঃ
একটি ব্যবসায় গড়তে যেমন পরামর্শের ভুমিকা থাকে তেমনি, পরামর্শের কারণে একটি ব্যবসায়র বিলুপ্তিও ঘটতে পারে। নির্ভর করে এটি ইতিবাচক না নেতিবাচক। খুব বেশি পরামর্শ গ্রহণ করলে ব্যবসায়ে আপনার নিজস্বতা থাকবে না এবং এটা আপনার ব্যবসায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অন্যদিকে আপনি যদি সম্পূর্ণ ভাবে কারো পরামর্শ, মতামত ইত্তাদি ছাড়া কাজ করেন সেটাও আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আপনার ব্যবসায়য়ের সামগ্রিক অংশের জন্য উপদেষ্টা নিয়োগ না করে সুনির্দিষ্ট কিছু অংশের জন্য উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারেন। যেমন – আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করাতে চান তাহলে এমন একজন কে নিয়োগ করুন যে কিনা জানে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবহারকারিদের কাছে পৌঁছানো যায়। হয়ত সে আপনার সম্পূর্ণ ব্যবসায় সম্পর্কে পারদর্শী না হলেও তার কর্মবিভাগে সে যথেষ্ট পারদর্শী। তিনি বলে দিবেন কিভাবে কি কাজ করতে হবে এবং তার নির্দেশনা অনুসারে মার্কেটিং টীম কাজ করবে।
১১। নেটওয়ার্কিংকে কম অগ্রাধিকার দেয়াঃ
আপনার সাফল্য আসলে নির্ভর করে আপনার পরিচিতি ও ব্যক্তিত্তের উপরও। আপনি যদি সম্ভাব্য ভোক্তা বা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত লোকজনের সাথে পরিচিত না হন তাহলে অনেক রকম সুযোগ আপনার হাত ছাড়া হতে পারে। তাই নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা ও চিন্তাশীল নেতা হিসেবে অনলাইনে ও বাস্তব জীবনে আপনার দৃশ্যমানতা বাড়ান। নেটওয়ার্ক আপনার ব্যবসায় এর ব্রান্ডিং বৃদ্ধি এর সাথে সাথে বিক্রয় বৃদ্ধিও করতে পারে। যেমন আপনার পরিচিত আপনার ব্যবসায়িক বন্ধু আপনার পণ্য সম্পর্কে তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল এ লিখতে পারেন এবং সেখান থেকেও আপনি পেতে পারেন আপনার কাংখিত ভোক্তা। অনেক সময় নেটওয়ার্কিং এর জন্য অর্থও ব্যয় করতে হয়, যা ভবিষ্যৎ এ কিছু দিতে পারে সে বিষয় এ অর্থ ব্যয় করতে কার্পণ্য করবেন না।
১২। ভুল ব্যক্তি নিয়োগ করাঃ
শুধুমাত্র পুথিগত ধারনা আপনাকে সফলতা দিতে পারবে না। তাই এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করুন যারা পুথিগত জ্ঞান এর পাশাপাশি বাস্তবতা সম্পর্কিত ধারণা রাখে। এবং আপনার ব্যবসায়ে সাহায্যকারী নিয়োগ এর ক্ষেত্রেও খুব যত্নশীল হতে হবে।
১৩। ব্যবসায় আরম্ভের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করাঃ
অনেক উদ্যোক্তা পরিকল্পনা এবং সাহায্যকারী তথ্য বা সামগ্রী সংগ্রহে অনেক সময় ব্যয় করে ফেলেন এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায় এর উদ্বোধনের ক্ষেত্রে বেশ সময় নষ্ট করে ফেলে। মাথায় রাখবেন উদ্বোধন না হওয়া পর্যন্ত আসলে কোন ব্যবসায় এর সূত্রপাত হয় না, সাথে সাথে অনেক সময় নষ্ট হতে থাকে। ব্যবসায় এর উদ্বোধন ব্যবসায় সম্পর্কিত প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে এক ধরণের অভ্যন্তরীণ শক্তি প্রদান করে।
১৪। বাজার গবেষণা না করাঃ
নতুন উদ্যোক্তারা অনেক সময় তাদের লক্ষ্য বাজার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে আগ্রহী হয়না। এতে করে অনেক উদ্যোক্তা তাদের লক্ষ বাজার আসলে কোনটা হওয়া উচিত বা ভবিষ্যৎ এর কোন অবস্থার কারণে কোন পরিবর্তন হতে পারে কিনা সেটাই জানে না। ভোক্তাদের জন্য বৈচিত্র্যময় কিছু করা এবং কি ধরণের ভোক্তা সম্পর্ক তৈরি উচিত, যখন তারা এ সম্পর্কে ধারনা পায় তখন এমন ও হতে পারে যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাই এই ভুল এড়াতে বাজার গবেষণা করা উচিত। বর্তমান নির্ভর ব্যবসায় ভবিষ্যৎ এ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারা যায় না, এবং অনেক নিদর্শন আছে।
শুধু গবেষণা এর জন্য একটি দল গঠন করা যেতেও পারে বা কোন বিভাগে উপদেষ্টা থাকলে তিনি সেই বিভাগ নিয়ে গবেষণা করতে পারেন।
১৫। কর্মচারীর প্রতি যত্নশীল না হওয়াঃ
অনেক উদ্যোক্তা মনে করে থাকেন, কর্মচারীকে অফিস চলাকালীন অবস্থায় সারাক্ষণ কাজ করা উচিত, কারণ তাকে এর জন্য বেতন দেয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একজন কর্মচারী তার কাজ নিয়ে নতুন কোন ধারণা তৈরি করার সুযোগ পায় না, কারণ সারাটা সময় তাকে কাজের মধ্যেই থাকতে হয়, নতুন কিছু ভাবার সময় কোথায়।
মাঝে মাঝে তো আমাদের দেশে এমনও হয় যে, কোনো বিভাগের উপদেষ্টা কেনো কম সময় কাজ করছে এই নিয়ে উদ্যোক্তা বিরক্ত হয়ে পরেন, যেখানে একজন উপদেষ্টা এর কাজ হলো নতুন ধারণা বের করা, ভবিষ্যৎ নিয়ে গবেষণা করা, কর্মীদের সঠিক ভাবে কাজের ব্যবহার করা ইত্যাদি।
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বাংলা আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ
Your email address will not be published. Required fields are marked *