Dhaka.
গুগল অ্যাডসেন্স টিপস
ইন্টারনেটে ইনকামের যতগুলো পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যমে অন্যতম এবং পুরুনো একটি পদ্ধতি হল অ্যাডসেন্স। এটি একটি প্যাসিভ ইনকাম। যা একবার সেট করা হলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।
যেহেতু গুগল এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন তাই অ্যাডসেন্স ইনকামের জন্য নিরাপদ এবং বড় একটি মাধ্যম। বলা হয় কেউ যদি একটি ব্লগে প্রতিদিন আর্টিকেল সাবমিট করে তাহলে গুগল থেকে ভিজিটর এমনি চলে আসে।
তবে অনেকের মাঝে কিছু হতাশাও দেখা যায় যে তাদের ইনকাম ভালো হচ্ছে না। তারা তাদের পরিশ্রম অনুযায়ী যথাযোগ্য আয় করতে পারছে না। অনেকের ভিজিটর আসে কিন্তু অ্যাডে ক্লিক হয় না। আবার অ্যাড-এ ক্লিক হলেও তার মূল্য কম।
কিভাবে আপনি অ্যাডসেন্স সফল হবেন তার উপর কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস নিয়ে আজ আলোচনা করব।
১. ভালো কীওয়ার্ড ব্যবহার করেনঃ
অ্যাডসেন্সের ইনকামের উপর কীওয়ার্ডের একটি বিরাট ভুমিকা রয়েছে। সেজন্য আপনাকে এমন কীওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে যা আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাড-এ ক্লিক হয়। গুগল এর কীওয়ার্ড প্ল্যানার এর মাধ্যমে রিসার্চ করতে গেলেই এ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কোন রকম একটি কীওয়ার্ড না টার্গেট করে অবশ্যই ভালো কীওয়ার্ড সিলেক্ট করে কাজ করুন। আবার কীওয়ার্ড সিলেক্টের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীতার কথা চিন্তা করেও কাজ করতে হবে। কারণ আপনি যদি প্রতিযোগীতা বেশি এমন কীওয়ার্ড সিলেক্ট করেন তাহলে র্যাঙ্ক করতে পারবেন না। আর র্যাঙ্ক না করলে ভিজিটরও পাবেন না।
২. প্রতিনিয়ত কন্টেন্ট পোষ্ট করুনঃ
কন্টেন্ট হল অ্যাডসেন্সর মূল সম্পদ। একটি ওয়েবসাইটে যত বেশি কন্টেন্ট থাকবে তত বেশি ইনকাম করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। সে জন্য চেষ্টা করুন প্রতিদিন নতুন নতুন কন্টেন্ট লিখতে। এটি সহজ কাজ না হলেও আপনি যদি অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে সফল হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই কাজটি করতে হবে।
৩. ওয়েবসাইট এর রঙঃ
ওয়েবসাইটের কালার বা রং গুগল আডসেন্সের গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আপনার সাইটের রং এর সাথে মিলিয়ে অ্যাড বসানোর চেষ্টা করুন। সাধারণত অ্যাড দেখলে মানুষ ক্লিক করতে চায় না। সে জন্য অ্যাড –এর কালারের সাথে মিল রেখে অ্যাড বসানো উচিত। তাহলে ওয়েবসাইটের ডিজাইনের কোন তারতম্য দেখা যাবে না। অ্যাড ক্লিক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
৪. অ্যাডের স্থানঃ
অ্যাড ক্লিকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে অ্যাডের পজিশন। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের কোন স্থানে আপনি অ্যাড ব্যবহার করবেন তার উপর। অ্যাড এমন একটি স্থানে বসান, যেখান খুব সহজেই ভিজিটরের নজরে আসে। অ্যাড কন্টেন্ট এর উপরে, মাঝে এবং নিচে এই ৩ অংশে ব্যবহার করা ২ টি কারণে এই ৩টি অংশকে প্রাধান্য দেয়া হয়, প্রথমত নজর এ পরবে অবশ্যই এবং দ্বিতীয়ত অনেক ক্ষেত্রে অ্যাড কে কন্টেন্ট এর অংশ মনে করে অনেকেই ক্লিক করেন। যদি আপনি ডান পাশে বসান তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ক্লিক কম পরতে পারে, কারণ অনেকের চোখ ডান সাইডে যায় না, আর্টিকেলটি পড়ে ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যান।
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://goo.gl/UG3F3h
৫. বেশি অ্যাড ব্যবহার করবেন নাঃ
অ্যাডসেন্সের ব্যবহার এ অন্যতম একটি ভুল হল বেশি অ্যাড ব্যবহার করা। একটি পেইজে বেশি অ্যাড ব্যবহার করলে তা ভিজিটরের কাছে বিরক্তিকর হয়ে যায়। ভিজিটরের কাছে কনটেন্টটি ফ্রেশ মনে হয় না, মনে হয় স্প্যামিং। এর জন্য ভিজিটর ওয়েবসাইট ত্যাগ করে। অবশ্যই অ্যাড এ ক্লিক না করে হাহাহা।
৬. CPC রেট জানুনঃ
ওয়েবসাইট এ অনেক ভিজিটর হওয়া এবং বেশি বেশি অ্যাডে ক্লিক করলেই অ্যাডসেন্সে ইনকাম বেড়ে যায় না। অ্যাডসেন্সে ইনকাম বৃদ্ধি করানোর জন্য আপনার ওয়েবসাইটে যেই অ্যাড গুলো আসছে সেই অ্যাডের CPC কত তাও জানতে হবে।
৭. স্প্যামিং না করাঃ
আমাদের দেশের একটি অন্যতম বড় সমস্যা হল ধৈর্য না ধরা এবং সহজ পদ্ধতি খুজে বের করার প্রবনতা। এই কারণে অনেকের নিজের অ্যাডসেন্স একাউন্ট পেয়েও হারাতে হচ্ছে। নিজের অ্যাডসেন্স একাউন্ট ধরে রাখতে আপনাকে কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তা হলো, অবৈধ ক্লিক করা বা ইম্প্রেশন তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে, অথবা অন্য কাউকে ক্লিক করার জন্য কোন রকম উৎসাহিত করা যাবে না। গুগল অ্যাডসেন্স টিকিয়ে রাখার জন্য অ্যাডসেন্সের আবেদনের আগেই অ্যাড সেন্সের নীতিমালা গুলো পরে নেওয়া উচিত।
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বাংলা আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ
Your email address will not be published. Required fields are marked *