Dhaka.
কোন ধরণের আর্টিকেল ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে?
একটি জনপ্রিয় ব্লগ অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য অনেক বড় একটি হাতিয়ার। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারবেন। যেমনঃ এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা সিপিএ মার্কেটিং অথবা নিজের কোন পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।
কিন্তু একটি ব্লগ জনপ্রিয় করতে অনেক কন্টেন্ট লিখতে হয়। কন্টেন্ট গুলো হতে হয় মান সম্পন্ন। তা না হলে ভিজিটর আকর্ষন করা যাবে না। কন্টেন্ট লিখতে লিখতে অনেক সময় আমরা কন্টেন্টের টপিক খুজে পাইনা বা অনেক সময় আমরা বুঝি না কোন ধরণের আর্টিকেল আমার ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে বড় ভুমিকা পালন করবে। একটি কন্টেন্টের টপিক যদি ভালো না হয় তা হলে কাস্টমার তৈরি করা যায় না। সেজন্য কন্টেন্টের টপিক সিলেক্টের ক্ষেত্রে যে ধরনের টপিক মানুষ পছন্দ করে সেই ধরনের টপিক সিলেক্ট করতে হবে।
১. প্রতিদিনের খবর বিশ্লেষণ করুনঃ
ব্লগের কন্টেন্ট লেখার জন্য টপিক খুজতে ভিজিট করুন আপনার নিশের উপর সাম্প্রতিক খবর গুলো। গুগলে টপিক খুজার জন্য সার্চ করলে আপনার কাছে একই টপিক গুলো বার বার চলে আসতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কোন নিউজ পেপার দেখেন নিউজ পেপারের সাম্প্রতিক খবর গুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেন তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য পেয়ে যাবেন।
এছাড়া আপনার নিশের হাই প্রোফাইল ব্যক্তিগুলো কোন বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করে, তারা কোন কোন সোর্স নিয়ে স্টাডি করে তা লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে খুব দ্রুত ব্লগের কন্টেন্ট লেখার টপিক খুজে পাবেন।
২. পোষ্ট কমেন্টঃ
আইডিয়া তৈরি করার অন্যতম সোর্স হল জনপ্রিয় পোষ্ট গুলোর কমেন্টস। একটি ভাইরাল হওয়া ব্লগ পোষ্ট বা সোশ্যাল মিডিয়ার পোষ্টে প্রচুর পরিমান কমেন্টস হয়। এই কমেন্টস গুলো শুধু কিছু শব্দ না। এখানে থাকে ব্লগ লেখার টপিক, নতুন নতুন ব্যবসায়ের আইডিয়া ইত্যাদি। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন নতুন নতুন ট্রেন্ডকে চিহ্নিত করতে পারেন। টেন্ড গুলো কেন ভাইরাল হল সেখানে কোন কোন কমেন্টস হচ্ছে, কি কি বিষয় গুলো মানুষ জানতে চাচ্ছে ইত্তাদি। সেই বিষয় গুলো নিয়ে ব্লগ কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।
৩. Q & A সাইট ভিজিট করুনঃ
কন্টেন্ট তৈরির আরেকটি বড় সোর্স হল Q & A সাইটগুলো। নিয়মিত বিভিন্ন Q & A সাইট গুলো ভিজিট করুন। যেমনঃ Qoura এবং Yahoo Answers । এই সাইট গুলো ভিজিট করলে দুই ধরনের সুবিধা। প্রথমত, আপনি আপনার নিশের উপর অনেক ধরনের প্রশ্ন পাবেন এবং সেই প্রশ্নের উত্তরও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের যেখানে কন্টেন্ট তৈরির অনেক ধারনা পাবেন, আপনি নতুন কিছু শিখতেও পারবেন। আর ২য় হল, আপনি কোন কিছু জানার প্রয়োজন হলে প্রশ্ন করার মাধ্যমেও কোন বিষয় সম্পর্কে অনেক আইডিয়া পাবেন যা কন্টেন্টের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে পাবেন। অর্থাৎ ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের কন্টেন্ট লেখার অনেক ধারনা এখানেই পেয়ে যাবেন।
শুধু Q & A সাইট গুলোই না বিভিন্ন ভালো ভালো ফেসবুক এবং লিঙ্কডিন গ্রুপ গুলোতেও নিয়মিত ভিজিট করে অনেক ব্লগ কন্টেন্টের আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
৪. কাস্টমার বা ফলোয়ারদের উপর সার্ভে করুনঃ
বিক্রয় বৃদ্ধি বা ভিজিটর বৃদ্ধি যে কোনটাই হোক না কেন মাঝে মাঝে ফলোয়ার বা কাস্টমারদের উপর সার্ভে করতে হয়। সার্ভে করার মাধ্যমে কাস্টমার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা যায় যেমনঃ তাদের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা, আকাঙ্ক্ষা এবং কোন বিষয়ের উপর তাদের প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো জানতে পারলে আপনি সহজে ভিজিটরের কাঙ্ক্ষিত কন্টেন্ট তৈরির টপিক খুজে পাবেন।
৫. প্রতিযোগীদের কার্যক্রমঃ
প্রতিযোগীদের জন্য অনেক সময়ই আমরা বিপদের মুখে পরি কিন্তু তারা প্রতিটি ব্যবসায়ের জন্য কিছু উপকারও করে। ব্লগের কন্টেন্টের টপিক খুজতে প্রতিযোগীরা হল একটি সহজ মাধ্যম। প্রতিযোগীদের থেকে টপিক খুজতে প্রথমে খুব কাছের কিছু প্রতিযোগীর একটি লিস্ট তৈরি করুন। তারপর তারা ইতি মধ্যে কোন কোন ধরনের কন্টেন্ট লিখেছে তা বিশ্লেষণ করুন। এই বিশ্লেষণের মধ্যেমে ভালো ভালো টপিক বের হবে। তারপর সেই টপিক গুলোর উপর আরও বিস্তারিত বর্ননা দিয়ে নতুন নতুন তথ্য যুক্ত করে কন্টেন্ট লিখুন। কখনই কপি করার চেষ্টা করবেন না।
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://goo.gl/UG3F3h
৬. আপনার নিশ বা ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করুনঃ
একটি নিশের উপর ভালো ভালো টপিক পেতে সেই নিশের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। গবেষনার জন্য ইন্টারনেট হল খুব সহজ একটি মাধ্যম। তবে আপনি যদি ভালো তথ্য না পান তবে বিভিন্ন লাইব্রেরীতে গিয়ে সেই ইন্ডাস্ট্রীর উপর বই পড়তে পারেন। বই গুলোতে সাধারণত সকল বিষয়ের শুরু থেকে সকল রকম তথ্য দেয়া থাকে।
লাইব্রেরীতে শুধু বই না পত্রিকা এবং বিভিন্ন ম্যাগাজিনও পাবেন। যদি আপনি কোন একটি বিষয়ের উপর নিজেকে দক্ষ প্রমাণ করতে চান তাহলে সেই বিষয়ের মূল থেকে তথ্য জানতে হবে এবং সেই তথ্য গুলো তুলে ধরতে হবে। তাহলেই আপনার ভিজিটর আপনাকে ঐ বিষয়ের উপর দক্ষ মনে করবে।
৭. এক্সপার্টদের ইন্টারভিউ প্রকাশ করুনঃ
ব্লগের কন্টেন্ট হিসেবে বিভিন্ন এক্সপার্টদের ইন্টারভিউ নিতে পারেন। যেমনঃ আপনার নিশ যদি হেলথ হয় তাহলে কোন ডাক্তারের বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন অথবা কোন এসইও এক্সপার্ট এর পরামর্শ নিয়ে ব্লগ পোষ্ট লিখতে পারেন। বিশেষ করে বিভিন্ন এক্সপার্টদের নিয়ে সিরিজ পোষ্ট লিখতে পারেন। এই ধরনের সিরিজ পোষ্ট ব্লগে ভালো ভিজিটর নিয়ে আসে।
এক্সপার্টদের বিভিন্ন পরামর্শ, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি নিয়ে কোন কন্টেন্ট দেখলে ভিজিটরদের কন্টেন্ট এবং ব্লগের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। আর এক্সপার্টদের ইন্টারভিউর জন্য অনেক সময় কোন রকম খরচও হয় না। কারণ তারা তাদের ব্রান্ড প্রচার করতে পারে। সে জন্য আপনার ব্লগে এক্সপার্টদের ইন্টারভিউ প্রকাশ করতে পারেন।
৮. বিতর্কিত বিষয়ঃ
সব ধরনের বিষয়ের মধ্যে মানুষের মাঝে নেতিবাচক বিষয়গুলো বেশি আকর্ষন করে। আপনার ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে যে সকল নেতিবাচক বিষয় গুলো প্রচুর আলোচিত হয় বা সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সেই বিষয় গুলো দিয়ে ব্লগে কন্টেন্ট লিখুন। এই ধরনের কন্টেন্ট গুলো আপনার ভিজটরকে সহজে আকর্ষণ করবে।
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বাংলা আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ
Your email address will not be published. Required fields are marked *