Dhaka.
যে সকল গিগ এর মাধ্যমে নতুনরা ফাইভারে খুব সহজে এবং দ্রুত কাজ পেতে পারেন
আপনি জানলে আবাক হবেন খুব ছোট ছোট কাজ করে আমাদের দেশের অনেক ফ্রীলেন্সার মাসে খুব ভালো ইনকাম করছে। অথচ সে কাজগুলো যেকোন ব্যক্তি ২-১ বার দেখলেই পারবে। আজকের আর্টিকেলটি সে ধরনের ব্যক্তিদের জন্য যারা ফ্রীলেন্সিং শুরু করবে ভেবেও কাজ না পারার ভয়ে বা সংকোচে এখনো শুরু করেনি। শুধু করবে করবে বলে মূল্যবান সময় নষ্ট করছে।
১. প্রোফাইল তৈরিঃ
এটি একটি জনপ্রিয় এবং সহজ কাজ। একদম নতুন যারা তেমন কোন কাজই পারেন না তারাও করতে পারবেন এই কাজ। ইউটিউব থেকে কয়েকটি ভিডিও দেখেই শিখে নিতে পারে কিভাবে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হয় এবং কাজ শুরু করে দিতে পারে। এর জন্য ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগল+, ইন্সটাগ্রাম, লিঙ্কডিন, পিন্টেরেস্ট বেশি প্রাধান্য পায়। তাই এই প্রোফাইল গুলো তৈরি করা অবশ্যই শিখবেন।
২. ডোমেইন রিসার্চঃ
ডোমেন রিসার্চ এর মাধ্যমে সহজেই ৫-১০ ডলার ইনাকাম করে ফেলতে পারেন। কয়েকটি ডোমেইন রিসার্চ ওয়েবসাইট যেমনঃ Goodaddy, Daynadot ইত্যাদিতে গিয়ে বিভিন্ন ডোমেইন রিসার্চ করতে পারেন। এই ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে আপনার ক্লায়েন্টের দেওয়া কীওয়ার্ড বা ব্যবসায়ের ধরণ অনুযায়ী সহজেই একটি ডোমেইন খুজে পেতে পারেন।
৩. ডাটা এন্ট্রিঃ
আপনি যদি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং মাইক্রোসফট এক্সেল এ কাজ করতে চান তাহলে শুরু করে দিন। ফাইভারে ডাটা এন্ট্রি কাজের পরিমান অনেক।
৪. ব্যবসায়িক কার্ড ডিজাইনঃ
ব্যবসায়িক কার্ড ডিজাইন ফাইভারের একটি চাহিদাসম্পন্ন কাজ। ব্যবসায়িক কার্ড ডিজাইন এর প্রচুর পরিমান কাজ রয়েছে ফাইভারে। অথচ এই কাজ করতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। যারা ইলাস্ট্রেটর এর কাজ মোটামোটি জানেন তারা এই কাজ শুরু করেতে পারেন।
৫. কভার ফটো ডিজাইনঃ
বর্তমানে সবাই ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডিন ব্যবহার করে। এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করতে হলে একটি প্রফেশনাল কভার ফটো দরকার হয়। গ্রাফিক ডিজাইন জানেন তারা কভার ফটো তৈরির একটি গিগ খুলে ফেলুন।
৬. ভিডিও থাম্বনেল তৈরিঃ
যারা বেসিক গ্রাফিক্স ডিজাইন জানেন তারা এটিও সহজেই করতে পারবেন। বিভিন্ন ভিডিও মার্কেটাররা এই ধরনের গিগ গুলো অর্ডার করে। তাদের ভিডিওর জন্য একটি সুন্দর থাম্বনেল তৈরি করে দিতে বলে। এটি খুব কঠিন কিছু কাজ না। মোটামোটি জানা গ্রাফিক ডিজাইনাররাও এটা করতে পারবেন।
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://goo.gl/UG3F3h
৭. পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনঃ
কম্পিউটারে কাজ শিখতে হলে সবাইকেই প্রথমে মাইক্রোসফট অফিস শিখতে হয়। মাইক্রোসফট অফিসের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ হল পাওয়ারপয়েন্ট। পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি করার মাধ্যমেও আপনি ইনকাম করতে পারেন। ফাইভারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের অনেক কাজ পাওয়া যায়।
৮. ওয়েব রিসার্চঃ
অনলাইন কাজগুলোর মধ্যে ওয়েব রিসার্চ হল একটি জনপ্রিয় কাজ। ওয়েব রিসার্চ হল ওয়েব থেকে কোন তথ্য খুজে বের করা। যেমনঃ কোন একটি নির্দিষ্ট নিশের উপর বিভিন্ন কোম্পানির কন্টাক্ট নাম্বারগুলো, ওয়েবসাইট লিঙ্ক, ঠিকানা, সোশ্যাল প্রোফাইল লিঙ্ক, ইমেইল ইত্যাদি খুজে বের করা। আবার আপনাকে বলতে পারে মার্কেট ট্রেন্ড গুলো খুজে বের করুন ইত্যাদি।
৯. Quote ডিজাইনঃ
এটি একটি ইন্টারেস্টিং কাজ। বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি গুলো ইমেজ আকারে ডিজাইন করে সেখানে ক্লায়েন্টের ব্যবসায়ের নাম ব্যবহার করা। অনেক ক্লায়েন্ট তাদের ব্যবসায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে এই ধরনের Quote ইমেইজ ব্যবহার করে। যেখানে ছোট করে তাদের ব্যবসায়ের নাম এবং লোগো ব্যবহার করা হয়। গুগলে সার্চ করলে এমন উদাহরণ অনেক পাবেন।
১০. ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ইন্সটলঃ
ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ইন্সটলেশন ওয়ার্ডপ্রেসের একটি বেসিক কাজ। যারা ওয়ার্ড প্রেসের কাজ না জানেন তারা ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখেও এই কাজটি শিখে ফেলতে পারেন। এটি সফটওয়্যার ইন্সটলেশনের মত সহজ কাজ। একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে কোন প্লাগিনগুলো সবসময় ব্যবহার করা জরুরী সে প্লাগিনগুলো শিখে নিন এবং তা ইন্সটলেশনের উপর একটি গিগ তৈরি করে ফেলুন।
১১. ফেসবুক পেইজঃ
যদিও এটি উপরের উল্লেখিত প্রথম পয়েন্টের সাথে মিল রয়েছে। কিন্তু আপনি চাইলে ফেসবুক পেইজ তৈরির জন্য আলাদা গিগ তৈরি করতে পারেন। যেহেতু ফেসবুক হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক পেইজ তৈরি করার চাহিদাও অনেক।
১২. সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্টঃ
ফাইভার এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে খুব ছোট ছোট কাজ কারার মাধ্যমেও ভালো ইনকাম করা যায় যা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। তেমন একটি কাজ হল সোশ্যাল মিডিয়াতে পোষ্ট করা। আপনাকে কিছু লিখতে হবে না, কোন ডিজাইনও করতে হবে না, শুধু পোষ্ট করা। অনেক ক্লায়েন্ট সময়ের অভাবে পোষ্ট করতে পারে না বা কাজের প্রেসারে মনে থাকে না। সে জন্য ফ্রীলেন্সার হায়ার করে যারা শুধু মাত্র সময়মত পোষ্ট করবে। ফাইভারে সার্চ করলে এমন অনেক গিগ খুজে পাবেন যারা এই ধরনের কাজ করে ইনকাম করছে। তবে এই ধরনের গিগের জন্য অল্প পরিমান চার্জ করবেন।
১৩. ইমেইল সিগনেচারঃ
ইমেইল সিগনেচার হল ইমেইলে একটি সিগনেচার ব্যবহার করা যা প্রতিটি ইমেইলের সাথে ফিক্সড থাকবে এবং প্রতিটি ইমেইলের সাথে এই সিগনেচারও যাবে, যা ব্রান্ডিং এ সাহায্য করে। যেখানে ইমেইল প্রেরকের ছবি, ওয়েবসাইট লিঙ্ক, সোশ্যাল প্রোফাইল লিঙ্ক ইত্যাদি থাকবে। এই ধরণের সিগনেচারকে HTML Email Signature বলা হয়। কারণ এই সিগনেচার HTML, CSS ব্যবহার করে তৈরি করে। তবে আপনি চাইলে HTML, CSS এর জ্ঞান ছাড়াও এই ধরনের সিগনেচার গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে সহজে তৈরি করতে পারবেন। এই সিগনেচার তৈরির অনেক টিউটোরিয়াল রয়েছে ইউটিউবে। টিউটোরিয়াল দেখে শিখে নিতে পারেন।
পরিশেষে এটা বলব, খুব সহজে আপনি ইনকাম করতে পারবেন শুধুমাত্র প্রয়োজন আপনার ইচ্ছার। তাই ইচ্ছা শক্তিকে বৃদ্ধি করুন এবং কাজে নেমে পড়ুন।
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুন — https://moshiurmonty.com/
Your email address will not be published. Required fields are marked *