Dhaka.
পণ্যের সাথে সাথে নিজের ব্রান্ডিং করুন
প্রতিনিয়ত মার্কেট পরিবর্তন হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত মার্কেটিং পদ্ধতিও পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনশীল মার্কেটে দীর্ঘ সময়ের জন্য নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের ব্রান্ডিং করতে হয়। বিশেষ করে যারা সার্ভিস প্রদান করে তাদের ব্রান্ডিং করার মাধ্যমে সার্ভিস বিক্রয়ও বেশি হয় এবং ইনাকামের স্থায়িত্বও বৃদ্ধি পায়।
পার্সোনাল ব্রান্ডিং হল সবচেয়ে কার্যকরী বিষয় যার মাধ্যমে মানুষ কে আকর্ষন করা যায় এবং সার্ভিস বিক্রয় করা যায়। পার্সোনাল ব্রান্ডিং স্থাপন করাকে একটি ব্যবসায় স্থাপন করার সাথে তুলনা করা হয়।
১. পোট্রেইটঃ
যখন আপনি আপনার পার্সোনাল ব্রান্ড প্রচার করবেন তখন যেন আপনাকে মানুষ সহজে চিনতে পারে এবং আপনাকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রহন করে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। সে জন্য আপনার এমন কিছু পোট্রেইট তৈরি করতে হবে যেখানে আপনার ব্যক্তিত্ব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে উঠে। আপনি যখনই কোথাও কোন ছবি পোষ্ট করেন সেই ছবি গুলোও যেন আপনার কাজের প্রতিচ্ছবি হয়।
২. সংক্ষিপ্ত সময়ে নিজেকে উপস্থাপনঃ
আপনি জানেন না কখন আপনার জন্য সুযোগ আসবে এবং কত সময়ের জন্য আসবে। তাই নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখুন এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই নিজেকে উপস্থাপন করুন। ধরুন, আপনি কোথাও যাওয়ার পথে হঠাৎ কোন ক্লাইন্টের সাথে দেখা হল। সেই ক্লাইন্ট আপনাকে ১ মিনিটের সময় দিল নিজেকে তুলে ধরতে তাহলে আপনি কি করবেন। তাই সবসময় নিজেকে গুছিয়ে রাখুন এবং যেই বিষয়গুলো ক্লাইন্টের কাছে আপনাকে মূল্যবান হিবে উপস্থাপন করবে তা নিজের কাছে লিপিবদ্ধ বা সংরক্ষন করে রাখুন।
৩. নির্দিষ্ট অডিয়েন্সঃ
আপনি যতই দক্ষ হন না কেন আপনি যদি আপনার অডিয়েন্স ঠিক না করেন তাহলে কখনই আপনার ব্রান্ডিং সফল হবে না। তাই আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনার টার্গেটেড মার্কেট কি, কারা আপনার গ্রাহক বা ক্রেতা। তখনই আপনি ব্রান্ডিং এর জন্য যা কিছুই করেন না কেন তা ব্রান্ড প্রচারে সাহায্য করবে।
কিভাবে আপনি অডিয়েন্স নির্দিষ্ট করবেন?
** এমন প্রয়োজনীয় কিছু কন্টেন্ট তৈরি করুন যা তাদের প্রয়োজন।
** এমন একটি অফার প্রদান করুন যা তাদের সমস্যার সমাধান করবে।
** খুজে বের করুন অডিয়েন্সকে আকৃষ্ট করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি।
** কোথায় তাদের খুজে পাওয়া যাবে তা বের করুন।
৪. নতুন কিছু শিক্ষার মন মানসিকতাঃ
পৃথিবীর প্রায় সকল ক্ষেত্রেই প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। ব্যবসায় ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন বেশি লক্ষনীয়। পণ্যের মান, মার্কেটিং পদ্ধতি, কাস্টমারের আচরণ ইত্যাদি সকল কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। সে জন্য আপনাকেও সবসময় নতুন নতুন বিষয় শিক্ষার মানসিকতা থাকতে হবে। আপনি আপনার অডিয়েন্সের কাছে যত বেশি নতুন নতুন মূল্যবান বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারবেন ততই তাদের কাছে আপনার গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ব্রান্ড প্রচার হবে। সে জন্যই আপনাকে শিক্ষার মন মানসিকতা রাখতে হবে।
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://goo.gl/UG3F3h
৫. অনলাইনে নিজেকে সহজপ্রাপ্য করে তুলুনঃ
পারসোনাল ব্রান্ড প্রচার করার পূর্বে নিজেকে অনলাইনে যেন সহজে পাওয়া যায় তেমন ভাবে প্রস্তুত করে তুলুন। আজকাল সবাই কোন কিছু সম্পর্কে জানতে প্রথমে গুগলে সার্চ করে অথবা সোশ্যাল প্রোফাইল গুলো দেখতে চায়। তাই ব্রান্ড প্রচারের পূর্বে নিজেকে অনলাইনে উপস্থাপন করুন। তাহলে আপনার ব্রান্ড প্রচার সঠিকভাবে হবে। অনলাইন উপস্থিতি শুধু ব্রান্ড প্রচার করে না কাস্টমারের সাথে আপনাকে যুক্তও করে।
৬. পার্সোনাল ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ
আধুনিক যুগে নিজেকে সহজে, সুন্দরভাবে এবং প্রোফেসনাল উপস্থাপন করার সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি হল একটি প্রোফেশনাল মানের ওয়েবসাইট। যার মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা, পূর্বের ক্লায়েন্ট, তাদের রিভিউ, আপনার সার্ভিস চার্জ সবকিছুই প্রকাশ করতে পারবেন। এছাড়া একটি ব্রান্ড ওয়েবসাইট গুগল সার্চের প্রথমে দেখায় যার ফলে প্রচুর নতুন নতুন কাস্টমার বা গ্রাহক তৈরির সম্ভবনা সৃষ্টি হয়।
৭. নিজের গল্পগুলো ব্যখ্যা করুনঃ
কিভাবে শুরু করলেন, কতটুকু কষ্টের পরে আপনার সফলতা অর্থাৎ সফলতার গল্প সবার সাথে শেয়ার করুন। নতুনরা আপনার সফলতার গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হবে, জানতে পারবে বাস্তবতা, নিজেকে তৈরি করতে পারবে। বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবে। হয়ত আপনি হয়ে যেতে পারেন তাদের আইডল, তাদের অনুপ্রেরণা।
৮. মার্কেটিং কৌশল তৈরি করুনঃ
আপনার পার্সোনাল ব্রান্ড মার্কেটে উপস্থাপন করার পূর্বে প্রথমে আপনার কাছে একটি মার্কেটিং স্ট্রেটেজী থাকা উচিত। কারণ একটি নির্দিষ্ট মার্কেটিং স্ট্রেটেজী ছাড়া আপনি আপনার ব্রান্ডকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন না। আপনার মার্কেটিং স্ট্রেটেজীতে থাকা উচিত কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন? কিভাবে পোস্টিং করবেন কখন পোস্টিং করবেন? কিভেবে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করবেন? কন্টেন্ট তৈরি, তা কিভাবে শেয়ার হবে এবং সেই কন্টেন্ট কিভাবে প্রচার করা হবে তার একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে কার্যকারী ভাবে ব্রান্ড প্রচার করা যায়। তাই কোথায় গেস্ট ব্লগিং করবেন, কোন কোন বিষয়ের উপর গেস্ট ব্লগিং করবেন তার একটি স্ট্রেটেজী তৈরি করতে হবে।
৯. অভিজ্ঞতা শেয়ার করুনঃ
আমরা প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট কোনো না কোনো বিষয় এ অভিজ্ঞ। আপনার অভিজ্ঞতা আপনি শেয়ার করতে পারেন বাকি সবার সাথে, আমি বলবো আপনি ছোট ছোট ভিডিও বানিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা, নতুন নতুন জানার বিষয়গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন, যা সবার কাছে আপনার গুরুত্ব তৈরি করবে এবং এমন ধরণের ভিডিও গুলো শেয়ার অনেক বেশি হয়, বুঝতেই পারছেন কিভাবে কাজে লাগবে 😀
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বাংলা আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ
Your email address will not be published. Required fields are marked *