Dhaka.
ব্লগিং সম্পর্কিত ২৫ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ব্লগিং এমন একটি ক্যারিয়ার যা দ্বারা আপনি বিভিন্ন ভাবে ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারবেন। একটি ব্লগের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়, গুগল অ্যাডসেন্স, সার্ভিস বিক্রয়, লোকাল কোম্পানীর অ্যাড, ব্যাকলিঙ্ক বিক্রয় ইত্যাদির মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। যারা অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তারা ব্লগিং এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন । আজকের আর্টিকেলটি হবে সম্পূর্ন নতুন ব্লগারদের জন্য যারা বুঝতে পারছেনা কিভাবে শুরু করবে বা ব্লগিং শুরু করেছে কিন্তু জানেনা একটি ব্লগ জনপ্রিয় করতে কি কি করতে হবে।
১. সহজে মনে রাখা যায় এমন একটি নাম রাখুন। একটি আকর্ষনীয় এবং সহজে মনে রাখা যায় এমন একটি নাম আপনার রিটার্নিং ভিজিটর বৃদ্ধি করবে।
২. ব্লগ তৈরির ক্ষেত্রে হোস্টিং খুবই গুরুত্বপূর্ন অংশ। একটি ভালো হোস্ট সিলেক্ট করবেন যাতে আপনার সাইট সবসময় লাইভ থাকে এবং লোডিং স্পীড ভালো পাবেন। বাজে হোস্টিং ব্যবহার করলে আপনার ব্লগের ভিজিটর কমে যাবে র্যাঙ্কিং-এ ও প্রভাব ফেলবে। কারণ ওয়েবসাইট ডাউন থাকা গুগল পছন্দ করে না।
৩. ব্লগিং করার ক্ষেত্রে এমন টপিক সিলেক্ট করুন যা আপনার ভালো লাগে। ব্লগিং –এ সফলতা পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। তাই ভালো লাগে এমন টপিক ছাড়া ব্লগিং করা কঠিন হয়ে পরে। যেই বিষয় গুলো জানেন এবং যেই বিষয় নিয়ে আপনি লিখতে পছন্দ করেন, সবার সাথে শেয়ার এবং যেই বিষয় গুলো মানুষ গ্রহন করে তেমন বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগিং করেন।
৪. কমেন্টে দ্রুত সাড়া দিন। ব্লগে অনেক কমেন্ট আসে সেই কমেন্টে দ্রুত সাড়া দিন তাহলে আপনার সাথে ভিজিটরদের সম্পর্ক তৈরি হবে। সেই সম্পর্কের ফলে ভিজিটর ওয়েবসাইটে আসবে, শেয়ার করবে।
৫. অন্যান্য ব্লগারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুন। অন্যান্য ব্লগারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা অনেক জরুরী কারণ এর মাধ্যমে ভিজিটর বৃদ্ধি করা যায়, ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা যায়, ব্রান্ডিং করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
৬. অন্যদের ব্লগ পোষ্টে কমেন্ট করুন। অন্য ব্লগ পোষ্টে কমেন্ট করলে দুইটি বড় ধরণের সুবিধা হয়। প্রথমত, অন্য ব্লগ থেকে আপনার ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসতে সাহায্য করে এবং দ্বিতীয়ত অন্যান্য ব্লগারের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।
৭. সর্বদা ইউনিক কিছু করার চেষ্টা করুন। অন্য সবার মত একই রকম কন্টেন্ট, মার্কেটিং কৌশল তৈরি করলে আপনার ব্রান্ড তৈরি হবে না। তাই সর্বদাই চেষ্টা করুন কিছুটা নতুন করতে।
৮. এঙ্গেজিং কন্টেন্ট তৈরি করুন। এঙ্গেজিং কন্টেন্টের কোন বিকল্প নেই।
৯. ব্লগে শেয়ার বাটন ব্যবহার করুন। শেয়ার বাটন আপনার আর্টিকেল অনেক অডিয়েন্সের কাছে পৌছে যেতে সাহায্য করে। ভিজিটর এর কাছে যেই কন্টেন্টি ভালো লাগবে তা সে অন্যদের কাছেও ছড়িয়ে দিবে।
১০. আর্টিকেলের সাথে প্রাসঙ্গিক ইমেজ ব্যবহার করুন। ইমেজ সহজে ভিজিটর আকর্ষণ করে এবং শেয়ার বেশি হয়।
১১. ব্লগ কন্টেন্ট বেশি বেশি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। যে সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার টার্গেটেড ভিজিটর পাওয়া যায় সেই সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।
১২. ভিজিটরের উপকারে আসে এমন পোষ্ট করুন। তাহলে তারা শেয়ার করবে আপনার ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।
১৩. মার্কেটে যেই বিষয়টির চাহিদা রয়েছে সেই বিষয় গুলো খুজে বের করুন। তাহলে আপনার কন্টেন্ট তৈরি করতে সাহায্য হবে।
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://goo.gl/UG3F3h
১৪. আপনার ব্লগের ডিজাইনটি ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন। একটি ভালো ডিজাইন ব্লগের ব্রান্ড বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং ভিজিটর কে আকর্ষণ করে।
১৫. আপনার নিশ সম্পর্কিত বা রিলেটেড যেই সব ব্লগ রয়েছে সেই ব্লগ গুলোতে গেস্ট ব্লগিং করুন। এর মাধ্যমে আপনার এবং ব্লগ দুটিরই ব্রান্ডিং হবে, ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যাক লিঙ্ক তৈরি হবে।
১৬. নিয়মিত পোষ্ট করতে কোন রকম ভুল করবেন না। ব্লগিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হল নিয়মিত পোষ্ট করা। আপনি যদি নিয়মিত পোষ্ট করেন তাহলে ভিজিটর নতুন নতুন এবং অনেক তথ্য পাবে যার ফলে ভিজিটর আপনার ব্লগে আসতে পছন্দ করবে।
১৭. এভার গ্রীন কন্টেন্ট তৈরি করুন। আপনার ব্লগে এমন কিছু কন্টেন্ট রাখুন যা এভার গ্রীন। অর্থাৎ যেই কন্টেন্ট গুলোর চাহিদা বা ভিজিটর সবসময় থাকে। যেমন এসইও নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করলে এসইওর মূল বিষয়, গুগল এর আপডেট, ইত্যাদি নিয়ে লিখতে পারেন। তাহলে সেই আর্টিকেল গুলো আপনার ওয়েবসাইট সবসময় ভিজিটর নিয়ে আসবে।
১৮. ব্লগে রেফারেন্স যুক্ত করুন। আপনার আর্টিকেল এর ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে।
১৯. নিয়মিত অডিয়েন্সের প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনার ব্লগে ভিজিটর আসবে তাদের মনে বিভিন্ন প্রশ্নের তৈরি হবে এবং আপনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করবে। তারা যদি সেই প্রশ্নের উত্তর না পায় তাহলে তারা হতাশ হবে। তাই নিয়মিত কমেন্ট চেক করুন এবং উত্তর দিন।
২০. মাঝে মাঝে স্প্লিট টেস্ট করুন। এটি অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য বিশেষ জরুরী। কোন কৌশলটি কাজ করছে, কোনটি কেমন কাজ করছে, কোন লেআউটটি ভিজিটরের কাছে পছন্দ হচ্ছে ইত্যাদি জানতে হবে। এটি জানার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের কনভার্শন রেট বৃদ্ধি পাবে এবং বাউন্স রেট কমে যাবে।
২১. আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। ব্লগে কন্টেন্ট লিখতে বা নিজের সম্পর্কে লিখতে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। ভিজিটর বাস্তব অভিজ্ঞতা জানতে চায় এবং বিশ্বাস করে তাই আপনার অভিজ্ঞতা বিভিন্ন রিলেটেড কন্টেন্টের সাথে শেয়ার করুন।
২২. হেডলাইন বা টাইটেল লেখার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিন। হেডলাইন একটি কন্টেন্টের জন্য ভিজিটর আকর্ষন করতে প্রধান হাতিয়ার। তাই হেডলাইন লিখতে আকর্ষনীয় শব্দ এবং ভিজিটরের জানতে চায় এমন শব্দ ব্যবহার করুন। কন্টেন্ট যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা হয় বা গুগল এ র্যাঙ্ক করে তখন হেডলাইনটি প্রথমে চোখে পরে। ভিজিটর তৈরিতে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
২৩. আর্টিকেল, ইমেজ বা ভিডিওতে call to action ব্যবহার করুন। call to actionভিজিটরকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি হয়, ভিজিটর অন্য আর্টিকেলে পড়তে উৎসাহ পায়। তাই যেকোন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করুন না কেন সেই কন্টেন্টে call to actionব্যবহার করুন।
২৪. কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এমন কন্টেন্ট তৈরি করুন যা ভিজিটর পড়ে তাদের ওয়েবসাইটে বা ব্লগে আপনার কন্টেন্টকে লিঙ্ক করবে। যেই কন্টেন্ট ন্যাচারালভাবে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করবে।
২৫. সর্বশেষ টিপস হল ধৈর্য হারাবেন না। অনেকে ব্লগিং করতে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। কিছু দিন কাজ করে সফলতা না পেলে অন্য কিছু করা শুরু করে। এই কাজটি করা যাবে না। মনে রাখবেন ব্লগিং এ সফলতা পেতে সময় লাগে।
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বাংলা আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ
Your email address will not be published. Required fields are marked *