Dhaka.
এসইও এর জন্য কিভাবে প্রতিযোগীদের গবেষণা করতে হয়?
আপনি একজন ভালো এসইও এক্সপার্ট তখনই হতে পারবেন যখন আপনি আপনার সঠিক কম্পেটিটর খুজে বের করতে পারবেন। আপনার নির্বাচিত কীওয়ার্ডের সার্চ রেজাল্টে কে টপে আছে অথবা কে আপনার টার্গেট করা কীওয়ার্ডে খুব ভালো ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি। তারপর দেখতে হবে তাদের ওয়েবসাইট কোন দিক দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট থেকে এগিয়ে অথবা তারা কিভাবে এসইও করছে, কোন কোন মাধ্যমে তারা ভিজিটর পাচ্ছে। তাদের ব্যাকলিঙ্কের পরিমাণ কত ইত্যাদি। এই সকল বিষয় গুলো জানলেই আপনার প্রতিযোগীকে বিশ্লেষণ করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো সঠিক ভাবে নিতে পারবেন।
১. খুজে বের করুন কে আপনার কম্পেটিটরঃ
আপনি ততক্ষন পর্যন্ত প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণ করতে পারবেন না যতক্ষন পর্যন্ত আপনি সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন যে কে আপনার প্রতিযোগী। অফলাইন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীকে খুজে পাওয়াটা সহজ হলেও অনলাইন এর ক্ষেত্রে এসইও করার জন্য প্রতিযোগী খুজে পাওয়া প্রায়ই অনেক কঠিন হয়। কারণ আপনি জানেননা আপনার প্রতিযোগী কিভাবে আপনার সাথে প্রতিযোগিতা করছে। তারা হতে পারে একই নিশে কাজ করে আপনার প্রতিযোগী, অথবা কেউ কোন Long Tail Keyword এর মাধ্যমে আপনার সাথে প্রতিযোগিতা করছে। সে জন্য আপনার টার্গেটেড কীওয়ার্ড দিয়ে গুগল সার্চ করেন এবং দেখেন কারা সার্চ রেজাল্টের টপ লেভেলে আছে। তাদের নিয়েই কাজ শুরু করেন।
২. প্রতিযোগীদের সাইট ভিজিট করুনঃ
প্রতিযোগীদের সাইট লিষ্ট করার পর আপনার কাজ হল সেই সাইটগুলো ভিজিট করা। এ ক্ষেত্রে আপনাকে দেখতে হবে তাদের সাইট কিভাবে তৈরি করার হয়েছে, কতটুকু সময়ের মধ্যে তাদের সাইট লোড হয়। তার পর আপনাকে দেখতে হবে তাদের কন্টেন্ট কি পরিমানের আছে, কন্টেন্ট এর কোয়ালিটি কেমন, কোন কোন কীওয়ার্ডের দিকে বেশি গুরত্ব দিয়েছে ইত্যাদি। কন্টেন্টকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। একটি ওয়েব সাইট বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার প্রতিযোগী কতটুকু শক্তিশালী, ওয়েব জগতে তাদের উপস্থিতি কতটুকু। তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হলে আপনাকে কতটুকু শক্তিশালী হতে হবে, আপনার কি পরিমান বিনিয়োগ করতে হবে ইত্যাদি।
৩. কীওয়ার্ড এনালাইসিস করুনঃ
কীওয়ার্ড হল এসইওর সফলতার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর। আপানার প্রতিযোগীরা যদি ভালো ভাবে কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজ করতে পারে তাহলে ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই কোন কোন কীওয়ার্ড তারা টার্গেট করে তা আপনাকে জানতে হবে। কোন কোন কীওয়ার্ড তারা টার্গেট করেছে তা জানাটা একটু কঠিন। কারণ আপনার কাছে যেই কীওয়ার্ড গুলো আপনার নিশের টপ মনে হলেও তার কাছে হয়ত তা মনে হচ্ছে না। যদি আপনি না জানেন তারা কোন কীওয়ার্ডে কাজ করছে, যদি আপনি শুধু কীওয়ার্ড ধারনা করে কাজ করেন তাহলে তা আপনার জন্য কোন কাজে লাগবে না।
কোন কীওয়ার্ডের উপর প্রতিযোগী কাজ করছে তা সঠিক ভাবে বের করার জন্য বিভিন্ন পেইড টুল ব্যবহার করতে পারেন। পেইড টুল গুলো আপনাকে অনেক তথ্য দিবে যা দ্বারা সহজে বুঝতে পারবেন কোন কীওয়ার্ড দিয়ে কোন ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করছে। এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন Spyfu, SEMrush ইত্যাদি পেইড টুল। এই টুল গুলো আপনার প্রতিযোগীর অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিবে, কোন কোন প্রাইমারি কীওয়ার্ড বা Long Tail Keywaord-এ ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করছে তা প্রকাশ করবে।
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://goo.gl/UG3F3h
৪. প্রতিযোগীদের ব্যাকলিঙ্ক চেক করুনঃ
প্রতিযোগীদের অবস্থান বুঝার জন্য আরেকটি মাধ্যম হল তাদের ব্যাকলিঙ্ক। ব্যাকলিঙ্কের মাধ্যমে বুঝা যায় র্যাঙ্কিং এর মূল পন্থা। সে জন্য আপনার প্রতিযোগীদের ব্যাকলিঙ্ক গুলোকে ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। দেখুন তাদের কতগুলো ব্যাকলিঙ্ক রয়েছে, ব্যাকলিঙ্কের জন্য কোন ধরনের ওয়েবসাইটকে প্রাধান্য দিয়েছে, তারা কোন এঙ্কর টেক্সট ব্যবহার করেছে, কোথায় কোথায় ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করেছে। তাহলে সঠিকভাবে ধারনা করতে পারবেন তারা আপনার থেকে কতটুকু শক্তিশালী।তাছাড়া তাদের ব্যাকলিঙ্ক বিশ্লেষণের মাধ্যমে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের ব্যাকলিঙ্ক করারও একটি ভাল ধারনা পাবেন। তারা যদি জনপ্রিয় সাইট গুলোতে ব্যাকলিঙ্ক করে তাহলে আপনাকেও তাই করতে হবে।
ব্যাকলিঙ্ক বিশ্লেষনের জন্য অনেক জনপ্রিয় পেইড এবং ফ্রী টুল রয়েছে। Smallseotools.com এ গিয়ে ফ্রী আপনার প্রতিযোগীর অনেক ব্যাকলিঙ্ক দেখতে পারবেন এবং পেইডের জন্য ব্যবহার করতে পারেন Ahrefs.com বা majestic.com। এই দুটি টুল অনেক জনপ্রিয় টুল। এই টুল গুলোর মাধ্যমে দেখতে পারবেন কোন কোন ডোমেইনে প্রতিযোগী ব্যকলিঙ্ক করেছে, তার পরিমানসহ আরো গুরুত্বপূর্ন অনেক তথ্য।
৫. ফ্যাক্টর গুলো বিশ্লেষণ করুনঃ
কীওয়ার্ড ছাড়াও আরও অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ন র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর রয়েছে। সেই র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর গুলো বিবেচনা করতে হবে এবং ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। আপনাকে দেখতে হবে তাদের ওয়েবসাইটের কতগুলো পেজ ইন্ডেক্স হয়েছে, তারা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে কেমন কাজ করছে ইত্যাদি। প্রয়োজনে আপনি গুগল এর প্রধান র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর গুলো দেখে নিন। সেই ফ্যাক্টর গুলোর অনুযায়ী আপনার প্রতিযোগীর ওয়েবসাইট বিশ্লেষণ করুন।
৬. সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিযোগীদের উপস্থিতি বিশ্লেষণ করাঃ
সোশ্যাল মিডিয়া হল সার্চ ইঞ্জিন যা র্যাঙ্কিং এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর। গুগল একটি ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করার পূর্বে আপনার প্রতিযোগীদের সোশ্যাল মিডিয়াতে কেমন উপস্থিতি তা দেখতে হবে। কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের বেশি উপস্থিতি, কোন সোশ্যাল মিডিয়া তারা টার্গেট করছে বা কোন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তারা বেশি ভিজিটর পাচ্ছে তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে বা জানতে হবে।
৭. তারা কী পিপিসি ব্যবহার করছে কি না?
প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে একটি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে, আপনার প্রতিযোগী কি পেইড অ্যাড বা পিপিসি ব্যবহার করছে কি না। পিপিসি একটি ওয়েবসাইটে সরাসরি ভিজিটর নিয়ে আসে যা অনেক দ্রুত কাজ করে। গুগল হচ্ছে একটি আদর্শ ওয়েবসাইট যার মাধ্যমে সহজে খুব কর্যকরী বা লাভজনক ভিজিটর নিয়ে আসা যায়। তাই দেখুন আপনার প্রতিযোগী কি পেইড মার্কেটিং বা পিপিসি করছে কি না। যদি তারা পেইড মার্কেটিং করে তাহলে আপনাকেও সেই ভাবে এসইওর পরিকল্পনা করতে হবে।
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বাংলা আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ
Your email address will not be published. Required fields are marked *