Dhaka.
ওয়েবসাইট এ ব্লগ ব্যবহার করার গুরুত্ব
ব্লগিং এমন একটি পদ্বতি যা একটি ব্যবসায় কে সহজে তার কাস্টমারের সাথে যুক্ত হতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন টিপস, তথ্য, পরামর্শ ইত্যাদির মাধ্যমে সাধারণ পাঠকদের কাস্টমারে পরিনত করা যায়, কাস্টমারকে যুক্ত রাখা যায়, নতুন নতুন কাস্টমার তৈরি করা যায়। এর জন্য ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটাররা ব্লগিং কে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্লগিং এর মাধ্যমে ব্রান্ডিং, পন্যের প্রচার ইত্যাদি করছে।
১. ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করেঃ
একটি ব্লগে বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট থাকে। যেমনঃ ফ্যাশন ব্লগে কিভাবে রূপচর্চা করতে হয়, কিভাবে শরীরের যত্ন নিতে হয়? কোন কোন পোশাকগুলো এখন ট্রেন্ডীং, গরমের সময় কোন ধরনের পোশাক পরা উচিত ইত্যাদি। এই সকল তথ্য জানার জন্য ফ্যাশন সচেতন মানুষগুলো ব্লগে আর্টিকেল পড়তে আসবে। আপনার ব্লগ পেজে আসার মাধ্যমে আপনার ব্রান্ড সম্পর্কে এবং আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে সহজেই জেনে যাবে।
২. সার্চ ইঞ্জিন পছন্দ করেঃ
আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম পেজে র্যাঙ্কের জন্য ব্লগ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। গুগল ভালো কন্টেন্টকে অনেক ভ্যালু দেয়। যদি আপনার ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ সেকশন থাকে এবং সেই ব্লগে গুরুত্বপূর্ন কন্টেন্ট যুক্ত করেন তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে দ্রুত র্যাঙ্ক করবে। এছাড়া ব্লগিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট এ অনেক কীওয়ার্ড যুক্ত হচ্ছে এবং খুব সহজে ভাবলে আপনার কোন আর্টিকেল যদি র্যাঙ্ক করে ফেলে তাহলে তার মাধ্যমেই ভিজিটর আসা শুরু হয়ে যাবে।
৩. সল্প মূল্যের মার্কেটিং পদ্ধতিঃ
ব্লগিংকে বলা হয় স্বল্প মূল্যের মার্কেটিং পদ্ধতি। কারণ, অন্যান্য মার্কেটিং পদ্ধতি থেকে এই পদ্ধতির খরচ খুব কম।অথচ এটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কার্যকরী। আপনি চাইলে আপনার ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ সেকশন খুলতে পারেন। সেখানে কন্টেন্ট লিখতে পারেন। অথবা আলাদাভাবে একটি ব্লগ তৈরি করে সেই ব্লগের সাথে আপনার ওয়েবসাইটকে যুক্ত করে দিতে পারেন।
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://goo.gl/UG3F3h
৪. দক্ষতা প্রকাশের সহজ মাধ্যমঃ
একজন ব্যক্তি কোন একটি বিষয়ে দক্ষ তা মানুষকে জানাতে হয়। কিন্তু কিভাবে মানুষকে এই দক্ষতা সম্পর্কে জানানো যায়? ব্লগিং এর মাধ্যমে সহজেই আপনার দক্ষতা অন্য কারো কাছে পৌছে দিতে পারবেন। বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার এর জনপ্রিয়তার কারণে এখন দ্রুত আপনি ব্লগ এ লেখার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌছাতে পারবেন। সাথে সাথে যেখান থেকে আপনি আপনার টার্গেটেড কাস্টমার বা গ্রাহক পেয়ে যাবেন।
৫. ফোকাস ঠিক রাখতে সাহায্য করেঃ
একটি ব্লগ তৈরি করতে বিভিন্ন স্ট্রেটেজি ব্যবহার করতে হয়। যেমনঃ কি ধরণের কন্টেন্ট হবে, কাদের টার্গেট করে কন্টেন্ট লেখা হবে? কোন কোন ধরণের পন্যের বা সার্ভিসকে টার্গেট করে কন্টেন্ট লেখা হবে, কিভাবে তাদের কাছে কন্টেন্ট পৌছে দেওয়া হবে ইত্যাদি। যেখানে প্রতিটি বিষয় আপনার ব্যবসায়কে কেন্দ্র করে হবে। এটি আপনার ব্যবসায়ের ফোকাস ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
৬. মার্কেট রিসার্চঃ
প্রতিটি ব্যবসায়ের সফলতার জন্য মার্কেট রিসার্চ করার প্রয়োজন হয়। কোন বিষয়গুলো কাস্টমার বা গ্রাহক পছন্দ করছে, কোন সার্ভিসটি কাস্টমার গ্রহন করছে না ইত্যাদি জানতে হয়। এই বিষয় গুলো জানার জন্য ব্লগিং গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। এছাড়া যখন আপনি ব্লগের জন্য কন্টেন্ট লিখবেন আপনাকে প্রচুর পরিমান রিসার্চ করতে হয় কারণ এক পেজ লিখতে হলে ১০ পেজ পড়তে হয়। তখন আপনি অনেক ব্যবসায়িক তথ্য পাবেন। সেই তথ্য দিয়ে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যেহেতু জানতে পারছেন কোন কোন পেজ গুলো তারা বেশি ভিজিট করছে, কাস্টমারের ইন্টারেস্ট সম্পর্কেও একটি পরিষ্কার ধারনা পাবেন।
৭. বিজ্ঞাপনের ব্যবহারঃ
একটি ব্যবসায়ের প্রান হল বিজ্ঞাপন। আর বিজ্ঞাপনের জন্য প্রয়োজন এমন একটি স্থান যেখানে প্রচুর মানুষ পাওয়া যায়। একটি ব্লগ যদি সফলতার সাথে পরিচালনা করতে পারেন তাহলে প্রচুর ভিজিটর পাবেন। যেখানে আপনার বিভিন্ন পন্য, সার্ভিস যেকোন কিছু খুব সহজেই প্রচার করতে পারবেন। একটি ব্লগ মানে একটি রিসোর্স যা কাজে লাগিয়ে যেকোন ব্যবসায় প্রচার করা যায়।
এই বিষয়গুলো চিন্তা করে আপনার ব্যবসায়ের জন্য শুরু করে দিন ব্লগিং এবং তৈরি করে ফেলুন একটি দীর্ঘস্থায়ী ভিজিটরের উৎস।
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুন — https://moshiurmonty.com/
Your email address will not be published. Required fields are marked *