Dhaka.
ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বৃদ্ধি করার উপায়?
এক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে একটি ওয়েবসাইট লোড হতে ৩ সেকেন্ড দেড়ি হলে প্রায় ১৯% কাস্টমার অসন্তষ্ট হয় এবং ৮% কনভার্শন রেট কমে যায়। সুতরাং বুঝতে পারছেন ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম যত কমানো যায় ততোই ভালো। আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র্যারঙ্ক করলেও ওয়েবসাইট লোড হতে যত বেশি সময় নিবে তত বেশি মুনাফা হারাবেন।
এছাড়া একটি ওয়েবসাইট গুগলে র্যাাঙ্ক করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর হল ওয়েবসাইট যেন দ্রুত লোড হয়। সে জন্য প্রত্যক ওয়েবসাইটকে অপ্টিমাইজ করতে হয়। চলুন জানি কিভাবে একটি ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পীড বৃদ্ধি করা যায়।
১. ফাস্ট হোস্টিং কোম্পানী ব্যবহার করুনঃ
ওয়েবসাইট লোডিং এ হোস্টিং এর একটি গুরুত্বপূর্ন প্রভাব রয়েছে। দুর্বল কোন হোস্টিং কোম্পানির হোস্টিং ব্যবহার না করাই ভালো ফাস্ট হোস্টিং কোম্পানীতে আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করুন, খরচ বেশি লাগলেও করুন।
২. কোড হ্রাস করাঃ
HTML এর প্রতিটি কমেন্ট, হোয়াইট স্পেস, লাইন ব্রেক, এবং অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কোড ওয়েবসাইট থেকে হ্রাস করুন। এই প্রত্যকটি হ্রাস করা মানে আপনার ওয়েবসাইটের সাইজ ছোট করা এবং লোডিং স্পীড বৃদ্ধি করা। এছাড়া যতটা সম্ভব CSS কোড কম রাখা। কোডের মধ্যে জাভাস্ক্রিপ্ট ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড হ্রাস করে দেয়। তাই যতটা সম্ভব কম জাভাস্ক্রীপ্ট ব্যবহার করতে হবে। আর স্ক্রিপ্ট সবার নিচে ব্যবহার করতে হবে।
৩. ছবি অপ্টিমাইজ করুনঃ
প্রায় প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটেই বিভিন্ন ইমেজ ব্যবহার করতে হয়। আর ই-রমার্স ওয়েবসাইট ইমেজ ছাড়া চিন্তাও করা যায় না। কিন্তু এই ছবিই একটি ওয়েবসাইটের সাইজ বৃদ্ধি করতে এবং ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম বৃদ্ধি করতে অন্যতম দায়ী। তাই অবশ্যই ছোট সাইজের ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। ইমেজ ব্যবহারের সময় JPEG ফরমেটের ইমেজ হলে সবচেয়ে ভালো। এছাড়া ছবি যদি বেশি বড় সাইজের হয় হলে তা ক্রপ করে ছোট করে তারপর ব্যবহার করুন।
৪. থিম পরিবর্তন করুনঃ
ওয়েবসাইটের লোডিং হতে বেশি সময় নেওয়ার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার ব্যবহৃত থিমটি। সহজে ওয়েবসাইট তৈরি এবং পরিচালনার জন্য অনেকে জনপ্রিয় CMS যেমন WorlPress , Joomla ব্যবহার করে এবং থিম ব্যবহার করে। যদি দেখেন আপনার থিমটি ওয়েবসাইট লোড হতে অধিক সময় নেয় বা নতুন ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে এমন থিম সিলেক্ট করুন যা অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত লোড হয়।
৫. প্লাগিন কম ব্যবহার করুনঃ
ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার কারণে বর্তমানে প্রচুর পরিমান ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের অনেক প্লাগিন ব্যবহার করতে হয়। এই প্লাগিন গুলো একটি ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম অনেক বৃদ্ধি করে দেয়। তাই ওয়েবসাইটে যতটা সম্ভব কম প্লাগিন ব্যবহার করবেন। আবার প্লাগিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় এমন হয় ৫০ টি প্লাগিনের একটি ওয়েবসাইট লোড হতে যত সময় নেয় তার চেয়ে অনেক বেশি সময় নেই ১০টি প্লাগিন যুক্ত ওয়েবসাইটে। তাই কোন প্লাগিনে ওয়েবসাইট লোড হতে বেশি সময় নিলে সেই প্লাগিন ব্যবহার না করুন অথবা বিকল্প কোন প্লাগিন ব্যবহার করুন।
৬. কম অ্যাড ব্যবহার করুনঃ
ওয়েবসাইটে অ্যাড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি না করাই উচিত। কারণ প্রতিটি অ্যাড ওয়েবসাইটে নতুন ছবি যুক্ত করে যা লোড হতে সময়ের প্রয়োজন হয়।
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://goo.gl/UG3F3h
৭. অতিরিক্ত সোশ্যাল বাটন ব্যবহার করবেন নাঃ
ওয়েবসাইট র্যাকঙ্কিং এবং ভিজিটর তৈরিতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কতটা জরুরী তা আমরা সবাই জানি। সে জন্য অনেকে বেশি রকম সোশ্যাল বাটন ব্যবহার করে। বেশি রকম সোশ্যাল বাটনে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড কমিয়ে দেয়। এছাড়া প্রতিটি সোশ্যাল বাটন জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে তৈরি করা হয়। সে জন্যও ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড কমে যায়। অপ্রয়োজনীয় কোন সোশ্যাল বাটন ব্যবহার করবেন না। যেমন আমাদের দেশের জন্য কোন ওয়েবসাইট তৈরি করলে Reddit বা Tumblr সোশ্যাল বাটন ব্যবহার করার তেমন প্রয়োজন পরে না।
৭. Redirect কম ব্যবহার করুনঃ
অনেক সময় আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে একটি URL এর সাথে আরেকটি URL Redirect করতে হয়। কিন্তু এই Redirect করতে ওয়েবসাইট লোডিং এর সময় HTTP কে অতিরিক্ত রিকোয়েস্ট পাঠায়। যা ওয়েবসাইট লোড নিতে বিলম্ব করায়। সে জন্য প্রতিটি ওয়েবসাইটে যতটা সম্ভব কম Redirect ব্যবহার করতে হবে।
৮. ব্রোকেন লিঙ্ক দূর করুনঃ
ব্রোকেন লিঙ্ক একটি ওয়েবসাইটের র্যাঃঙ্কিং এর জন্য ক্ষতিকর উপাদান। তাই ওয়েবসাইট থেকে ব্রোকেন লিঙ্ক দূর করার চেষ্টা করুন। এক একটি ব্রোকেন লিঙ্কের জন্য এক একটি রিকোয়েস্ট পাঠাতে হয় কিন্তু কোন রেজাল্ট আসে না। এটি শুধু মাত্র একটি অপচয়। এর কারণে একটি ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম অনেক বেড়ে যায় এবং ওয়েবসাইটের র্যারকিং এ ক্ষতি করে। তাই ব্রোকেন লিঙ্কগুলো সক্রিয় লিঙ্কে পরিনত করুন অথবা অপসারণ করুন।
৯. এক্সটারনাল লিঙ্ক ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুনঃ
একটি ওয়েবসাইটকে পরিপূর্ন করতে হলে ওয়েবসাইট এ অবশ্যই এক্সটারনাল লিঙ্ক ব্যবহার করতে হয়। বিভিন্ন রেফারেন্স বা কন্টেন্ট কে আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের এক্সটারনাল লিঙ্ক ব্যবহার করতে হয় বা ভিডিও এর লিঙ্ক এম্বেড করে ব্যবহার করতে হয়। তবে লক্ষ্য রাখুন যেন এক্সটারনাল লিঙ্ক বেশি না হয়। পেজে অতিরিক্ত লিঙ্কের জন্য ওয়েবসাইট লোড হতে বেশি সময় নেয়।
ভবিষ্যৎ এ আরো টিপস দেয়া সম্ভব হলে নতুন আর্টিকেল এর মাধ্যমে দেয়া হবে । আপনাদের কাছে আরো টিপস থাকলে আমার সাথে শেয়ার করুন ।
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বাংলা আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ
Your email address will not be published. Required fields are marked *