Dhaka.
আপনার ব্যবসায় এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়া, গুগল, ভিডিও, ইমেইল ইত্যাদি ব্যবহার করে পণ্য বা ব্রান্ড প্রচার করার একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতি বিভিন্ন প্রচলিত পদ্ধতি থেকে আলাদা। এটি এমন একটি কার্যকরী পদ্ধতি যার মাধ্যম আপনি আপনার কাস্টমার এর পছন্দ অপছন্দ, আপনার থেকে দূরে অবস্থিত ব্যক্তিকে কাস্টমার এ রুপান্তরিত করা, ব্যবসায় এর সাথে কাস্টমারদের একটি সম্পর্ক তৈরি ইত্যাদি সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয় কয়েকটি মাধ্যমে যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি।
ইন্টারনেটের ব্যবহার সহজতর এবং সহজলভ্য হওয়ার কারণে সকল ব্যবসায়ের জন্যই ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব ।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?
অনেকের মাঝে একটি প্রশ্ন হয় যে, আমরা পণ্য বা ব্যবসায়ের প্রচারের জন্য প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করি। আবার ডিজিটাল মার্কেটিং করা কেন প্রয়োজন?
আপনি ভেবে দেখুন আপনার প্রচলিত মার্কেটিং বলতে আসলে কি বুঝাচ্ছেন, পোস্টার/ব্যানার/লিফলেট/বিলবোর্ড/মাইকিং/টিভি বা রেডিও বিজ্ঞাপন/দেয়াল লিখন/অফিস ভিজিট ইত্যাদি। এছাড়া আর কিছু উল্লেখ্যযোগ্য নয় বলে আমার মনে হয়। এবার ভেবে দেখুন, যতগুলো পদ্ধতি এর কথা লিখলাম, এদের কোন পদ্ধতি এর মাধ্যমে আপনি টার্গেট করে মার্কেটিং করতে পারেন কি? যেমন- শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য বিজ্ঞাপন বা ২০-২৮ বছর এর বয়সীদের জন্য বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। আবার আপনি ঢাকার উত্তরাতে থাকলে আপনার জন্য ধানমন্ডিতে পণ্য বিক্রয় করা কষ্টসাধ্য কারণ অনেক ক্রেতা তাদের কাছের দোকান থেকে পণ্য কিনতে চায়। এবার যদি আপনি টিভি বা রেডিও এর কথা ভাবেন, সেখানে বলতে হয় এই দুই পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন এর খরচ অনেক বেশি এবং সব ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এখানে বিজ্ঞাপন দেয়া সম্ভব নয়। সুতরাং আপনি বুঝতেই পারছেন, প্রচলিত বিজ্ঞাপন এর সমস্যাগুলো কোথায়। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিতে আপনি অনলাইন এ আপনার দোকান খুলতে পারছেন, টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দিতে পারছেন, দেশের যে কোন প্রান্তের মানুষকে কাস্টমার হিসেবে টার্গেট করে পণ্য বিক্রয় করতে পারছেন, আপনার কাস্টমারদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক তৈরি করতে পারছেন এবং নতুন নতুন অফারগুলো খুব সহজেই তাদের জানিয়ে দিতে পারছেন। এছাড়া এখনতো মানুষ টিভি কম দেখে, দেয়াল লিখন এ কম তাকায়, লিফলেট হাতে নিয়ে ফেলে দেয় কিন্তু অনেক সময় অনলাইনে কাঁটায়, সে ক্ষেত্রে একজন মার্কেটার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত আপনার ব্যবসায় এর জন্য।
এ মার্কেটিং পদ্ধতির সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি রয়েছে তা হলো কাস্টমার বা গ্রাহক যেকোন সময়, যেকোন স্থান থেকে আপনার পণ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। সে জন্য নতুন নতুন কাস্টমার তৈরি হয়। এছাড়া এটি এমন একটি মার্কেটিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে সকল ধরণের পণ্য বা সার্ভিস যেমনঃ বিনোদন, খেলা, শিক্ষা, পণ্য, ডিজিটাল পণ্য বিক্রয় করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষ করে ছোট বা নতুন ব্যবসায়ের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে, কারণ এই মার্কেটিং এ খরচ অনেক কম। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করা জানেন তাহলে আপনি চাইলে খুব কম ইনভেস্ট করেও আপনার পণ্য মার্কেটিং করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয় প্রধানত ৪টি পদ্ধতিতে। প্রত্যেকটি পদ্ধতি বিভিন্ন দিক থেকে কাস্টমারদের টার্গেট করে বলে প্রতিটি মাধ্যমই অনেক জরুরী। যেমনঃ
Training is an Investment
In the Future of your Business
Learn Digital Marketing from Moshiur Monty – https://moshiurmonty.com/DigitalMarketing
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ব্যাপক জনপ্রিয় মাধ্যম হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন/এসইও। এসইও হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে গুগল থেকে ভিজিটর আনা হয়। গুগল হচ্ছে সব ধরণের কাস্টমারের একটি বড় উৎস। আমরা কোন কিছু খুঁজতে সর্বপ্রথম গুগল কে ব্যবহার করি। আমরা যা লিখে সার্চ করি তাকে Keyword বলে। গুগল সার্চ রেজাল্টের প্রথমে যে ওয়েবসাইট লিঙ্ক আসে সে ওয়েবসাইটেই সবচেয়ে বেশি ভিজিটর পাওয়া যায়। আর এই Keyword ভিত্তিক সার্চ রেজাল্টে রাঙ্কিং করাই হল এসইও। যদি কেউ তার ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটের এসইও না করে তাহলে সে অনেক বড় অংকের একটি ভিজিটর হারাবে। যা তার ব্যবসায়ের মুনাফা বৃদ্ধিতে ব্যহত করবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ
ফেসবুক সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীতে সোশ্যাল মিডিয়া নামক এক ভার্চুয়াল পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন মানুষ ঘুম থেকে উঠে প্রথম ফেসবুকে বন্ধুরা কে কি লিখেছে তা দেখতে পছন্দ করে, টুইটারে কি টুইট করেছে তা Check করতে চায়, ইন্সটাগ্রামে নিজের একটি ছবি দিতে চায়। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের সাথে নিভিড়ভাবে জড়িত হয়ে যাচ্ছে। এই জন্য আপনি যদি কোন এক স্থানে সকল ধরনের প্রচুর পরিমান কাস্টমার বা গ্রাহক চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অন্যান্য যেকোন মাধ্যম থেকে কম খরচে অনেক বেশি কাস্টমার আকর্ষন করা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া বলতে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, লিঙ্কডিন ইত্যাদি অন্যতম। তাই এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে মার্কেটিং অবশ্যই করা উচিত।
ইমেইল মার্কেটিংঃ
বর্তমান সময়ে আমরা কোন তথ্য বা ফাইল আদান প্রদান করার জন্য যে মাধ্যমটি সহজ ও নিরাপদ মনে করি তা হলো ইমেইল। এই ইমেইলের মাধ্যমে যে মার্কেটিং করা হয় তাকে ইমেইল মার্কেটিং বলে। আপনি যদি USA বা অন্য কোন উন্নত দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং করার চিন্তা করেন তাহলে ইমেইল মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই। তারা সকল ধরণের কাজ ইমেইলের মাধ্যমে করতে পছন্দ করে বলে প্রচুর ইমেইল আদান-প্রদান করে। তাই এই মার্কেটিং খুবই কার্যকর। বাংলাদেশেও এর যথেষ্ট ব্যবহার রয়েছে।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংঃ
সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে ইতিমধ্যে উল্লেখ কারা হয়েছে। গুগল এখন জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বসেরা। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ গুগল ব্যবহার করে। সে জন্য গুগল থেকে প্রচুর পরিমাণ কাস্টমার পাওয়া নিশ্চিত করতে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করা প্রয়োজন হয়। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং হলো একটি পেইড মার্কেটিং পদ্ধতি। গুগল কে টাকার দেয়ার মাধ্যমে গুগল নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডে সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আপনার ওয়েব সাইটের লিঙ্ক দেখাবে। যার মাধ্যমে আপনি টার্গেটেড ভিজিটর পাবেন। যা আপনার কাস্টমারে পরিণত হতে পারে। আপনি যদি এই পদ্ধতি ব্যবহার না করেন তাহলে হয়ত আপনার প্রতিযোগী আপনার এই কাস্টমার সোর্স ব্যবহার করে আপনার থেকে এগিয়ে থাকতে পারে।
উপরের আলচোনার মাধ্যমে এটাই বুঝাতে চেয়েছি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটি বিভাগ বা মাধ্যম অর্থাৎ পুরো ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্যবসায়ের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন। যা আপনার ব্যবসায়ের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
Moshiur Monty
Digital Marketing Trainer, Bdjobs Training.
অনুপ্রেরণা যোগাতে আমার সাথেই থাকুন ~~ https://www.facebook.com/MoshiurMontyBD/
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বাংলা আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ
Your email address will not be published. Required fields are marked *